Mahatma Gandhi & Independence Movement of India
By- onlinenewclass.blogspot.com
Translate Button given below for translate it in various
languages of World.
Under British imperialism there was no special sense of nationalism in the minds of the people of India and India was divided into several fragmented states. The British conquered all of India and established their system of governance where there was no such thing as the rights of the common man. Gradually the Indians began to feel the pain of subjugation in their own country as the rural economy and various small scale industries collapsed during the British rule and the helpless people began to feel disoriented. In such a negative background, various movements of Mahatma Gandhi and the development of nationalism in the minds of the people took the Indian independence movement much further.
Mohandas Karamchand Gandhi was born on 2nd October 1869 in the Porbandar of Gujarat, India. Gandhiji's father's name was Karamchand Uttam Chand Gandhi and his mother's name was Putli Bai. Gandhiji's grandfather was a dewan of a native state and they had a grocery business. After finishing his studies at a nearby school-college, Gandhiji went to England to study barrister.
Gandhiji loved to read different scriptures along with researching different laws. After passing the barrister and first joining the Mumbai High Court, he had to move to South Africa with special needs to stand up to the massive oppression of the British. The English were racist at that time and Indian and Africans were not considered human beings. Gandhiji united against this attitude and formed the Natal Indian National Congress. Natal Gandhi's first political career in Africa. Gandhiji's movement was non-violent and he called it Satyagraha. Gandhiji was later imprisoned but in the end the local government was forced to accept the demands of the Indians and Gandhiji's path of non-violence was successful.
Later, Gandhiji returned to the country with the honor of the victor. The National Congress had already been established in 1885, so Gandhiji started a mass awakening among the people with the mantra of non-violence. Against the backdrop of the First World War, the British government promised that the "right to liberty" rule would be given to the Indians but in the end the British broke their promise and chased the Indians instead of autonomy under the repressive Rawlatt Act.
The non-cooperation movement started under the leadership of Gandhiji in 1922 and it was the first beginning of the mass uprising in the country under the leadership of Gandhiji. Gandhiji established khadi and charka centers all over the country and succeeded in awakening the people to the idea of Swadeshi. He realized that it was not possible to lead the Indians in the path of armed movement, so he used his unarmed manpower to strike non-violently against the British imperialist power.
Gandhiji himself lived an ascetic life which was very simple and he managed to reach out to the common people of the country on foot through various movements. The Salt Satyagraha movement started in 1930 by uniting the people in a non-violent manner. As a result, the British government strongly opposed Gandhiji, but in the end, the British had three roundtable meetings with Gandhiji in England. Gandhiji was repeatedly disappointed by these three meetings with the intention of giving Swaraj to India and was forced to give up everything.
Later, the Second World War started. At this time Gandhiji finally declared on 9th August 1942 that the British should leave India because India wanted full independence. As a result of the massive movement, the British government imprisoned Gandhiji, but in spite of this, the united protests of India all over the country collapsed British government .
On the other hand, as a result of the movement led by Netaji Subhas Chandra Bose and other revolutionary leaders, India was finally declared an independent state on 15 August 1947. But at that time due to the biracialism of the British, the whole of India was broken up and a new state was created which was called Pakistan. Gandhiji was deeply hurt because he wanted a Hindu-Muslim United India. A radical Hindu organization has often called Gandhiji a Muslim flatterer, and on January 30, 1948, Mahatma Gandhi was shot dead by one of their members.
Gandhiji was in fact a symbol of non-violence, true and neutral love, and resorted to non-violence and satyagraha to protest against injustice. Gandhiji considered untouchability a great sin and was strong in extraordinary self-power. The unarmed and non-violent movement of unarmed people for extraordinary self-reliance became a form of protest and widened for the independence of the country. Even today, the people of India have been using various postage stamps or statues in different places as symbols for his everlasting contribution, and even Gandhiji's image has been used in various currencies of India.
Bengali Translation:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা যথেষ্ট আলোচনার দাবি রাখে। গান্ধীজীর আন্দোলন অনেক ক্ষেত্রে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছিল স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যে যা ব্রিটিশ পরাধীনতার দীর্ঘ 200 বছরের সময় ভারতের বিভিন্ন অংশে সংঘটিত হয়েছিল। বিভিন্ন দেশ-বীরের আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ভারত 15 ই আগস্ট 1947 সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অধীনে ভারতের জনগণের মনে জাতীয়তাবাদের বিশেষ অনুভূতি ছিল না এবং ভারত বেশ কয়েকটি খণ্ডিত রাজ্যে বিভক্ত ছিল।
ব্রিটিশরা সমগ্র ভারত জয় করে এবং তাদের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে যেখানে সাধারণ মানুষের অধিকার বলে কিছু ছিল না। ধীরে ধীরে ভারতীয়রা নিজেদের দেশে পরাধীনতার যন্ত্রণা অনুভব করতে শুরু করে কারণ ব্রিটিশ শাসনামলে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস হয়ে যায় এবং অসহায় মানুষ দিশেহারা বোধ করতে শুরু করে। এই ধরনের নেতিবাচক পটভূমিতে মহাত্মা গান্ধীর বিভিন্ন আন্দোলন এবং জনগণের মনে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যায়।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী 1869 সালের ২ রা অক্টোবর ভারতের গুজরাট পৌর বন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। গান্ধীজীর পিতার নাম করমচাঁদ উত্তম চাঁদ গান্ধী এবং মায়ের নাম পুতলি বাই। গান্ধীজীর দাদা ছিলেন স্থানীয় রাজ্যের দেওয়ান এবং তাদের মুদি ব্যবসা ছিল। পাশের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর গান্ধীজি বিলেটে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। গান্ধীজি বিভিন্ন আইন নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি বিভিন্ন শাস্ত্র পড়তে পছন্দ করতেন।
ব্যারিস্টার পাশ করার পর এবং প্রথমে মুম্বাই হাইকোর্টে যোগদানের পর, ব্রিটিশদের ব্যাপক নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ প্রয়োজন নিয়ে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যেতে হয়েছিল। ইংরেজরা সে সময় বর্ণবাদী ছিল এবং ভারতীয়এবং আফ্রিকানরা মানুষ হিসেবে বিবেচিত ছিল না। গান্ধীজি এই মনোভাবের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে নাটাল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস গঠন করেন। নাটাল গান্ধীর আফ্রিকায় প্রথম রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। গান্ধীজীর আন্দোলন ছিল অহিংস এবং তিনি একে বলেছিলেন সত্যাগ্রহ। গান্ধীজী পরে কারাবরণ করেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার ভারতীয়দের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং গান্ধীজীর অহিংসার পথ সফল হয়।
পরবর্তীতে গান্ধীজি বিজয়ীর সম্মানে দেশে ফিরে আসেন। জাতীয় কংগ্রেস ইতিমধ্যেই 1885 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাই গান্ধীজি অহিংসার মন্ত্র নিয়ে মানুষের মধ্যে গণজাগরণ শুরু করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে, ব্রিটিশ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে শাসনের অধিকার ভারতীয়দের দেওয়া হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশরা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং দমনমূলক রাওলাট আইনের অধীনে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে ভারতীয়দের তাড়া করে।
1922 সালে গান্ধীজীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় এবং গান্ধীজীর নেতৃত্বে দেশে গণঅভ্যুত্থানের প্রথম সূচনা হয়। গান্ধীজি সারা দেশে খাদি ও চরকা কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং স্বদেশী ধারণার প্রতি মানুষকে জাগ্রত করতে সফল হন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে ভারতীয়দের নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়, তাই তিনি তার নিরস্ত্র জনশক্তি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অহিংসভাবে আঘাত করতে লাগলেন। গান্ধীজি নিজে একটি তপস্বী জীবন যাপন করতেন যা খুবই সহজ ছিল এবং তিনি বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে পায়ে হেঁটে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন।
লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন 1930 সালে অহিংস পদ্ধতিতে জনগণকে একত্রিত করে শুরু হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজীর তীব্র বিরোধিতা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশরা ইংল্যান্ডে গান্ধীজীর সাথে তিনটি গোলটেবিল বৈঠক করে। গান্ধীজি ভারতকে স্বরাজ দেওয়ার অভিপ্রায়ে এই তিনটি বৈঠকে বারবার হতাশ হয়েছিলেন এবং সবকিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এই সময়ে গান্ধীজি অবশেষে 1942 সালের 9 আগস্ট ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে কারণ ভারত পূর্ণ স্বাধীনতা চায়। ব্যাপক আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার গান্ধীজীকে কারাবন্দী করে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, সারা দেশে ভারতের তীব্র প্রতিবাদের ফলে ব্রিটিশ সরকার পতন ঘটে।
অন্যদিকে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং অন্যান্য বিপ্লবী নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলস্বরূপ, ভারতকে অবশেষে 15 আগস্ট 1947 -এ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং একটি নতুন রাষ্ট্র তৈরি করা হয়েছিল যার নাম ছিল পাকিস্তান। গান্ধীজী গভীরভাবে আঘাত পেয়েছিলেন কারণ তিনি হিন্দু-মুসলিম একত্রিত ভারতবর্ষ চান। একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন প্রায়ই গান্ধীজীকে মুসলিম চাটুকার বলে আখ্যায়িত করে এবং 1948সালের 30-এ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীকে তাদের একজন সদস্য গুলি করে হত্যা করে।
গান্ধীজি প্রকৃতপক্ষে অহিংসা, সত্য ও নিরপেক্ষ প্রেমের প্রতীক ছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে অহিংসা ও সত্যাগ্রহের আশ্রয় নিয়েছিলেন। গান্ধীজি অস্পৃশ্যতাকে মহাপাপ বলে মনে করতেন এবং অসাধারণ আত্মশক্তিতে শক্তিশালী ছিলেন। অসাধারণ আত্মনির্ভরশীলতার জন্য নিরস্ত্র মানুষের নিরস্ত্র এবং অহিংস আন্দোলন দেশটির স্বাধীনতার অভিপ্রায়ে এক ধরনের প্রতিবাদে পরিণত হয়। আজও, ভারতের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ডাক টিকিট বা মূর্তি ব্যবহার করে আসছে তার চির অবদানের প্রতীক হিসেবে, এমনকি গান্ধীজীর ছবিও বিভিন্ন মুদ্রায় ব্যবহৃত হয়েছে।
By- onlinenewclass.blogspot.com You may easily Share & Follow this link for more information.
0 Comments